Menubar - Visit Bangladesh - Travel & Tour Information - Tourism Bangladesh


.

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের কুঠিবাড়িটি বর্তমানে রবীন্দ্র জাদুঘর। কুঠিবাড়িটি ১৮১৩ সালে নির্মিত। মুলত জমিদারি দেখাশোনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা দ্বারকানাথ ঠাকুর এইজমিটি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও জমিদারি দেখাশোনার জন্য এখানে আসতেন। এটি এখন রবীন্দ্র বিজড়িত একটি স্থান। কুঠিবাড়িটি বর্তমানে রবীন্দ্র জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কুঠিবাড়ির বিভিন্ন কক্ষে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার জয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাল্যকাল হতে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন আলকচিত্র। কবির স্বহস্তে লেখা কবিতা, আঁকা চিত্রকর্ম, নোবেল পুরস্কারের সনদ এবং এসময় প্রকাশিত ছবিসমুহও এখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়াও তাঁর ব্যবহৃত একটি কাঠের চেয়ার, আরামকেদারা, হাতপাখা, আলনা, টেবিল, দুটি স্পীডবোট চপলা ও চঞ্চলা ইত্যাদি এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে।








রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭মে কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার, গল্পকার, চিত্রকর, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক ও সমাজ সেবক ছিলেন। তিনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুইটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা। ১৯১৫ সালে তিনি ব্রিটিশ কর্তৃক 'নাইট' উপাধিতে ভূষিত হন। তবে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবে জালিয়ানওয়ালবাগে এক সমাবেশে ভারতীয়দের উপর ব্রিটিশ পুলিশ গুলি চালানোর এনং সেখানে ভারতীয়দের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রিটিশ ভাইসরয়ের নিকট 'নাইট' উপাধি ফিরিয়ে দেন। রবি ঠাকুর মূলত বাংলাদেশে আসতেন তার পূর্বপুরুষের জমিদারী দেখাশোনা করতে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।



কুষ্টিয়া জেলা শহর হতে সিএনজিতে করে সহজেই এখানে যাওয়া যাবে। সিএনজিতে জনপ্রতি ভাড়া নিবে ৩০-৪০টাকা। এছাড়াও কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজবাড়িগামী বাসে করেও এখানে যাওয়া যাবে। কুষ্টিয়া শহর থেকে এই স্থানের আনুমানিক দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।



Article Posted on : 2019-02-02


Visit Bangladesh - Travel & Tour Information - Tourism Bangladesh - Footer